প্রধান আলোচ্য বিষয় সমূহ
ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা তার গ্রাহককে আর্থিক সেবা সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে, ব্যক্তিগত ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ব্যাংকের কার্যক্রম ও সেবা সমূহ সর্ম্পকে সকলকে অবগত থাকা প্রয়োজন। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচী-২০২৩ এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ০৮ বিভাগীয় এলাকায় ২৪ শাখার মাধ্যমে ২৪ টি প্রোগ্রাম আয়োজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের নিমিত্তে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড নি¤œলিখিত ইধংরপ ঃযবসব বিবেচনায় নিয়েছে:-
১. ব্যাংকিং সেবার প্রয়োজনীয়তা/গুরুত্ব ও সেবা পাওয়ার উপায়;
২. ডিজিটাল ব্যাংকিং সার্ভিসেস এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ;
৩. সঞ্চয়ের মানসিকতা এবং স্কুল ব্যাংকিং সেবা প্রদান;
৪. ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার সুবধিাবঞ্চতি অংশকে স্বনর্ভির করে তোলা ।
নিন্মে ব্যাংকিং সেবার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করা হল ঃ-
ব্যাংকের সেবা পাওয়ার প্রধানতম উপায় হল, ব্যাংকের হিসাব খুলে গ্রাহক তার কাক্ষিত সেবা পেতে পারে। ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত সেবা সমূহ:-
ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ:-
ক. গ্রাহকের প্রত্যেকের ০২(দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি;
খ. নমিনীর ০১ (এক ) কপি ছবি;
গ. গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসর্পোট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্মনিবন্ধন সনদ এর ফটোকপি;
ডিজিটাল ব্যাংকিং সার্ভিসেস ঃ
স্মার্ট ফোন কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল টেকনলজি মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়। যা, ডিজিটাল ব্যাংকিং সার্ভিসেস নামে পরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি শিডিউল ব্যাংকে ই-ওয়ালেট/ র-ইধহশরহম ইত্যাদি নামে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয় ।
ডিজিটাল ব্যাংকিং সার্ভিসেস এর মাধ্যমে নি¤œলিখিত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়:-
ক. একই ব্যাংকের এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে/এক ব্যাংক হতে অন্য ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার করা ।
খ. Utility (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) বিল প্রদান ।
গ. মোবাইল রিচার্জ ।
ঘ. Mobile Financial Services (MFS) যেমন-বিকাশ/নগদ/রকেট এর মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন সংগঠিত হচ্ছে ।
ঙ. অনলাইন/ই-কমার্স পেমেন্ট ।
চ. স্কুলের বেতন প্রদান
ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণঃ
আমাদের দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী বিদেশে কর্মরত আছে। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এতদ্সত্ত্বেও বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি/অবৈধ পথে দেশে প্রবেশ করে, যা বেআইনি এবং দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতএব দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সকল প্রবাসীকে বৈধ পথে/ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর জন্য উৎসাহিত করা প্রয়োজন।
বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আহোরণে সরকার কর্তৃক ২.৫% ইনসেনটিভ বোনাস দেয়া হচ্ছে, যাতে প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে দ্রুত ও নিরাপদে প্রেরণ করতে পারে।
প্রবাসী আয় বৈধ পথে প্রেরণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:
আমাদের দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী পৃথীবির বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছে। তাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ পথে দেশে আনার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বৈধ পথে প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছে।
প্রবাসী আয় বৈধ পথে প্রেরণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা:-
অবৈধ উপায়ে প্রেরিত অর্থ আমাদের দেশের আর্থসামাজিক উন্ন্য়নের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। অবৈধ পথে প্রেরিত অর্থ বলতে হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরিত অর্থকে বোঝায়। অবৈধ উপায়ে প্রেরিত অর্থ আমাদের সমাজে নি¤œলিখিত বিরূপ প্রভাব ফেলে:-
সঞ্চয়ের মানসিকতাঃ
জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয়, আবশ্যকীয় খরচ করার পরে দিনান্তে/সপ্তাহান্তে/মাসান্তে যে পরিমাণ টাকা জমা থাকে তাকেই সঞ্চয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রত্যাহিক জীবনের যে সকল খরচ আবশ্যকীয় নয়, তা পরিহার করে আমরা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে পারি। অপ্রয়োজনীয় খরচ বলতে ভোগের/শখের নিমিত্তে খরচ করাকে বোঝায়। এ সকল খরচ আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য নয়। আমাদের দেশের একটি বিরাট অংশের জনগণ ব্যাংকিং সেবা বাহিরে আছে। আর্থিক অর্ন্তভূক্তির কার্যক্রমকে জোড়দার করতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন এবং তাদেরকে সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরীতে উৎসাহিত করতে হবে ।
স্কুল ব্যাংকিং ঃ
আর্থিক অর্ন্তভূক্তি কার্যক্রমে স্কুল ব্যাংকিং সেবা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। স্কুল ব্যাংকিং হিসাব বলতে ছাত্র/ছাত্রীদের (১৮ বছরের কম বয়সী) নামে ব্যাংক হিসাব খোলাকে বোঝায়, যা ছাত্র/ছাত্রীর বাবা/মা/কোন আইনগত অভিভাবক দ্বারা পরিচালিত হয়। স্কুল ব্যাংকিং ছাত্র/ছাত্রীদের সঞ্চয়ী মানসিকতা গড়ে তোলা এবং তাদের সঞ্চিত টাকা সঠিক উপায়ে বিনিয়োগ করার ধারণা সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে স্কুল ব্যাংকিং অত্যন্ত পরিচিত ব্যাংকিং সেবা। বাংলাদেশের সকল তফসিলী ব্যাংকে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয়।
স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুললে প্রাপ্ত সুবিধা সমূহ:-
স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পরিপালনীয় শর্তাবলী:-
স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ:-
সাধারণত স্কুল ব্যাংকিং হিসাব সঞ্চয়ী ক্যাটাগরী হিসাবে খুলতে হয় । তবে যদি সঞ্চয়ী স্কীম হিসাব খুলতে হয়, সেক্ষেত্রে সঞ্চয়ী হিসাব থেকে টাকা স্থানন্তারের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা বাঞ্চনীয় ।